চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রায় ৪.৮ শতাংশ হতে পারে। এছাড়া দারিদ্র্যের হার বাড়ার পাশাপাশি ভালো নেই দেশে কর্মসংস্থানের বাজারও।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্মসংস্থানের অবস্থা ২০২৪ থেকে ২০২৫ অর্থবছরে অবনতি ঘটেছে। অর্থনৈতিক চাপ, মূল্যস্ফীতি ও নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ হ্রাসের ফলে সামগ্রিক শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ২০২৫ অর্থবছরে জাতীয় দারিদ্র্যের হার বেড়ে ২১ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২৪ অর্থবছরে ছিল ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে দারিদ্র্য বেড়েছে প্রায় ০.৭ শতাংশ পয়েন্ট।
২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ৬০.৯ শতাংশ থেকে কমে ৫৮.৯ শতাংশে নেমে এসেছে।
এই পতনের প্রধান কারণ হলো নারীদের অংশগ্রহণ হ্রাস। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর বাইরে বেড়েছে নারী সংখ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অতিরিক্ত ৩০ লাখ কর্মক্ষম মানুষ শ্রমবাজারের বাইরে চলে গেছেন, যার মধ্যে প্রায় ২৪ লাখই নারী। এটি নারীদের কর্মসংস্থান সংকটে পড়ার এক উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরে।
এসময়কালে মোট কর্মসংস্থান প্রায় ২০ লাখ কমে গেছে, ফলে মোট কর্মরত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখে (৬৯.১ মিলিয়ন)। এর ফলে কর্মসংস্থান-জনসংখ্যা অনুপাত ২.১ শতাংশ পয়েন্ট কমে ৫৬.৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
সূত্র:যায়যায় দিন








