প্রবল বৃষ্টিতে কলকাতার মতোই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা জলমগ্ন। এদিকে হাই টাইডের কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছে দিঘার সমুদ্র। সমুদ্রপাড়ে চলছে মাইকিং। উপকূলের বাসিন্দাদের জরুরি কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় হালদার বলেন, “অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকুন। প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করুন।” জরুরি নম্বর: ০৩২২৮-২৬২৭২৮।
মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে না যেতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল ও ইমার্জেন্সি লাইট চার্জ দিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রামনগর-১ ব্লক প্রশাসনের তরফে সৈকত সংলগ্ন এলাকায় প্রচার শুরু হয়েছে।যদিও প্রশাসনের সতর্কবার্তা সত্ত্বেও মঙ্গলবার বহু পর্যটককে দিঘার সমুদ্রে স্নান করতে দেখা যায়। রামনগর-১ ব্লকের পদিমা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্তকুমার পাত্র বলেন, “চরম সতর্কতা জারি রয়েছে। ভরা জোয়ারে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে।”
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে। এর জেরে উপকূলবর্তী জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।








