প্রথম ওভারেই ধাক্কা: ইনিংসের প্রথম বৈধ বলেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সাইম আইয়ুব। হার্দিক পান্ডিয়ার করা শর্ট লেংথের বল সঠিকভাবে টাইম করতে না পেরে পয়েন্টে বুমরাহর হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
এরপর নেমে ব্যর্থ হন মোহাম্মদ হারিস। বুমরাহর পেস সামলাতে না পেরে মাত্র ৫ বলে ৩ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ দেন।
এতে ৬ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে পড়ে পাকিস্তান।
মাঝের ওভারে হাল ধরেন ফারহান
তৃতীয় উইকেটে শাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান জুটি গড়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। তবে ফখর ১৫ বলে ১৩ রান করে ফিরে গেলে চাপ আরও বাড়ে। এরপর সালমান আলি আগা, হাসান নাওয়াজ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ ব্যর্থ হয়ে আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দারুণ খেলেন ফারহান। তিনি ৪৪ বলে ৪০ রান করেন এবং পাকিস্তানকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন।
শেষ দিকে আফ্রিদির ঝড়
ফারহান আউট হওয়ার পর মনে হচ্ছিল পাকিস্তানের ইনিংস এখানেই শেষ। কিন্তু শাহিন শাহ আফ্রিদি ব্যাট হাতে চমক দেখান। পাওয়ার হিটিংয়ের দারুণ প্রদর্শনীতে মাত্র ১৬ বলে অপরাজিত ৩৩ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে আসে চারটি ছক্কা। এর কল্যাণে পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৭ রান তুলতে সক্ষম হয়।
ভারতের ইনিংস: অভিষেক-সূর্যের ঝড়
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে ভারত।
শুভমান গিলের বিদায়: গিল ১০ বলে ১২ রান করে স্টাম্পড হয়ে ফিরে যান।
তবে অপর ওপেনার অভিষেক শর্মা ঝড় তোলেন। শাহিন আফ্রিদির প্রথম ওভারে এক চার ও এক ছক্কা হাঁকিয়ে আত্মবিশ্বাসী সূচনা করেন। দ্বিতীয় ওভারেও একই কায়দায় চার-ছক্কা মেরে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ ভেঙে দেন তিনি। শেষমেশ ১৩ বলে ৩১ রান করে আউট হন।
সূত্র :যায়যায় দিন