বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এই পরিষদ যেহেতু সচিবালয়ের সব সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিত্বকারী একটি ঐতিহ্যবাহী ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনকারী সংগঠন। সেহেতু সরকারি সিদ্ধান্ত, শৃঙ্খলা ও পরিশীলিত আচরণের প্রতি সচেতন থেকে পরিষদের সদস্যবৃন্দ তাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সর্বদা সচেষ্ট থাকবে,
বর্তমান সরকার ও প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান ও দাবি-দাওয়া আদায়ে তারা নিয়মতান্ত্রিক পন্থা থেকে বিচ্যুত হবে না এবং কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হঠকারী সিদ্ধান্ত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে কোনোরূপ সহায়তা প্রদান করবে না এবং কাউকে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ প্রদান করবে না।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত কোনো গুজবকে বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কোনো কার্যক্রমে বা মব সৃষ্ট কাজে অংশগ্রহণ থেকে বিরত ও সতর্ক থাকার জন্য সাধারণ কর্মচারীগণকে পরিষদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
সচিবালয়ের বাহিরে অবস্থিত কোনো সংগঠন কর্তৃক আহত কোনো প্রকার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার জন্য সচিবালয়ের সব স্তরের কর্মচারীদেরকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক বার্তা প্রাপ্তির পরও যদি কোনো কর্মচারী উক্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন, তার জন্য উক্ত কর্মচারীকেই যাবতীয় দায়-দায়িত্ব বহণ করতে হবে এবং সংযুক্ত পরিষদের পক্ষ থেকে কোনোরূপ সহযোগিতা প্রদান করা হবে না।
বিশেষভাবে সতর্ক করা যাচ্ছে ‘বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের’ সঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, বিধায় উক্ত সংগঠনের কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করা ও এতদবিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সচিবালয়ে অভ্যন্তরে কর্মরত সব স্তরের কর্মচারীগণকে পুন: অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তৌহিদুর রহমান, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মো. তোয়াহা, বায়েজিদ হাসান, নুরুজ্জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক সুমন জিমানুর রহমান, রহমত উল্লাহ বাবু আশরাফুল ইসলাম, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. বিপুল, আরিফুর রহমান, বাবুল আক্তার, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের মিজানুর রহমান, আরিফ হুসাইন, স্বাস্থ্য ও পরি, কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শাহীন গোলাম রব্বানী, সাব্বির আহম্মেদ, রুহুল আমিন মো. আরিফ, আব্দুল কাদের, সোহেল রানা, আহসান হাবিব সিয়াম, শাহাদাৎ হোসেন, শামীমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকবৃন্দ প্রমুখ।
সভা শেষে নেতৃবৃন্দ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেছুর রহমান এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং সিনিয়র সচির তাদের দাবি অনুযায়ী উপসচিবের ৬(ছয়) পদ সংরক্ষণের মঞ্জুরী জ্ঞাপনের সুসংবাদ প্রদান করেন এবং নিয়মতান্ত্রিক সব দাবি সুবিবেচনার আশ্বাস প্রদান করেন।
সূত্র:যুগান্তর