Home জাতীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আমাদের...

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো শিক্ষিত বেকার যুবক। শিক্ষা শেষে সবাই চায় একটা চাকরি এবং সরকারি চাকরি। সরকারি চাকরি প্রথম পছন্দ। সরকারি চাকরিতে অনেক মজা আছে। বেতন যাই থাকুক না কেন অনেক ধরনের সুবিধা আছে।

6
0

ফ্যাসিবাদের পতন হলেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
সোমবার  জাতীয় প্রেস ক্লাবে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন,  বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের’ দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপস নয় মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্র এখনো পুনরুদ্ধার হয়নি। আমরা আওয়ামী পুনর্বাসন করছি বলে আলোচনা হচ্ছে! যেই দলটা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত, দলের চেয়ারপারসনকে বিনা কারণে কারাগারে রেখেছিল, তারেক রহমানকে নির্বাসনে রেখেছে। ছোট ভাই মালয়েশিয়ায় মারা গেছেন। বিএনপির মহাসচিবসহ এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যার বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি? আর আমরা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করছি! এটা কী সম্ভব? এসব ফাইজলামির শেষ হওয়া উচিৎ। আমরা বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপস হবে? কেউ করতে গেলেও আমরা বাধা দেবো।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করে যাচ্ছি। এই আন্দোলনে জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী ১৭শ‘র বেশি মানুষ মারা গেছেন। জুলাই আন্দোলনে সহস্রাধিক মানুষ খুন হয়েছে। লাখ লাখ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। হাজারো মানুষ আহত ও অঙ্গহানির শিকার হয়েছে। অনেকেই হয়রানি ও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপরও আন্দোলন করেছি। যার মূল লক্ষ্য ছিলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা ও ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটানোর জন্য। শেষ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছেও। দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষ এই লড়াইয়ে শরিক হয়েছিলো। তবে জনগণের নির্বাচিত সরকার তথা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়নি।

নজরুল বলেন, আমরা সংস্কার চাই। তবে সেটি অবশ্যই প্রয়োজন এবং সক্ষমতা অনুযায়ী হতে হবে। সংবিধান সংশোধনের জন্য পরবর্তী সংসদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ঐকমত্য কমিশনে আমরা যারা ঐকমত্য পোষণ করেছি, সেটার একটা তালিকা করে সনদ করা হোক। তাহলেই তো সমস্যা থাকার কথা না। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে বাধা কেনো? নির্বাচন দেরি কেনো হবে তার ব্যাখ্যা তো আপনাদেরকে দিতে হবে। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ ও সরকার চাই।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ।

 

সুত্র:কালের কন্ঠ

 

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here