Home অর্থনীতি শাহজালালে অগ্নিকাণ্ডে পোশাক শিল্পে বড় ক্ষতি, বিজিএমইএর উদ্বেগ

শাহজালালে অগ্নিকাণ্ডে পোশাক শিল্পে বড় ক্ষতি, বিজিএমইএর উদ্বেগ

8
0

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পোশাক শিল্পে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।

এ ঘটনায় মূল্যবান কাঁচামাল, রপ্তানির জন্য প্রস্তুত পোশাক এবং নতুন ব্যবসায়িক চুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্যাম্পল পণ্য সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে।

রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান বলেন, “গতকাল (শনিবার) বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক।

এ দুর্ঘটনা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে বড় আঘাত হেনেছে, বিশেষ করে পোশাক খাতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।” তিনি আরও জানান, সাধারণত উচ্চমূল্যের পণ্য ও জরুরি শিপমেন্টের জন্য আকাশপথে পরিবহন করা হয়। কিন্তু এই অগ্নিকাণ্ডে সেই গুরুত্বপূর্ণ ও উচ্চমূল্যের পণ্যসামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

বিজিএমইএ নেতার ভাষায়, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের মধ্যে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত পোশাক, উৎপাদনের কাঁচামাল এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্যাম্পলগুলো ছিল। এই স্যাম্পলগুলো আমাদের নতুন ব্যবসার সুযোগ তৈরি করে। এগুলো হারানো মানে ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক সম্ভাবনা হারানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।’ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বিজিএমইএর সদস্যদের কাছ থেকে ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছি। এজন্য একটি অনলাইন ডেটা কালেকশন পোর্টাল চালু করা হয়েছে, যাতে দ্রুত তথ্য পাওয়া যায়।’

প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি কারখানা আকাশপথে পণ্য রপ্তানি করে থাকে বলে উল্লেখ করেন ইনামুল হক খান। তিনি বলেন, ‘এই হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ বিশাল। বিজিএমইএ খুব দ্রুত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়, কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করবে।’ ঘটনাস্থল ঘুরে তিনি আরও বলেন, ‘ভেতরে ভয়াবহ অবস্থা। আমদানি বিভাগের পুরো অংশই পুড়ে গেছে। সবকিছু পুনরুদ্ধার ও সচল করতে কমপক্ষে ১৫ দিন থেকে এক মাস সময় লাগবে।’

বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, ‘আমরা বাণিজ্য উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমদানিকৃত পণ্য যাতে দ্রুত ছাড় করা যায়, সেই লক্ষ্যে টার্মিনাল ৩-এ নতুন জায়গা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, আগে যেখানে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগত, এখন ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই পণ্য ক্লিয়ার করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে কাস্টমসের সঙ্গে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে ক্ষতির নিরূপণ শেষ হলে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে জমা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

 

সূত্র:যায়যায় দিন

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here