জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবারও চিঠি দিয়েছে । আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ই-মেইলের মাধ্যমে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম স্বাক্ষরিত এ চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে জানানো হয়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পাঠানো চিঠির জবাবে এনসিপির দলীয় অবস্থান অবহিত করা হলো। চিঠিতে বলা হয়, গত ২২ জুন এনসিপি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন দাখিল করে এবং দলের অনুকূলে ‘শাপলা’ প্রতীক সংরক্ষণের জন্য আবেদন জানায়। পরে এনসিপি গত ৩ আগস্ট কমিশনের কাছে চিঠির মাধ্যমে পার্টির অনুকূলে প্রতীক সংরক্ষণের ক্রম হিসেবে ১. শাপলা ২. সাদা শাপলা ও ৩. লাল শাপলা পছন্দ করে। এ ছাড়া ওই চিঠিতে শাপলাকে প্রতীক হিসেবে দৃশ্যমান করার ক্ষেত্রে শাপলার ভিন্ন ভিন্ন ভার্সন বা আংশিক ‘ডিসটর্টেট’ ভার্সন গ্রহণ করার ক্ষেত্রে এনসিপি সব সময় আলোচনায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হয়।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এনসিপির পরবর্তী বৈঠকগুলোতে প্রতীক হিসেবে শাপলাকে দৃশ্যমান করার ক্ষেত্রে জাতীয় প্রতীকে দৃশ্যমান শাপলার পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি ভার্সনে আঁকা শাপলার নমুনা ছবি নির্বাচন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হয়।
চিঠিতে শাপলার সাতটি নমুনাচিত্র যুক্ত করে বলা হয়, এ পত্রে উপস্থাপিত নমুনার বাইরেও শাপলার আংশিক ভিন্নতর কোনো নমুনার ব্যাপারে আলোচনা করতেও এনসিপি প্রস্তুত রয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, এনসিপির ৩ আগস্ট ও ২৪ সেপ্টেম্বরের দরখাস্তের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অদ্যাবধি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। অর্থাৎ উক্ত দরখাস্ত দুটি অনিষ্পন্ন অবস্থায় রেখে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এনসিপি বরাবর ৩০ সেপ্টেম্বর চিঠি প্রেরণ করা বিধিসম্মত হয়নি বলে এনসিপি মনে করে।
এনসিপি মনে করে, গণমানুষের সঙ্গে শাপলা প্রতীককেন্দ্রিক তার গভীর সংযোগ সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। শাপলা এনসিপির শুভাকাঙ্ক্ষী, সমর্থক, কর্মী ও নেতাদের দেশের জনগণের সঙ্গে চমৎকার বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। দেশের মানুষের ভালোবাসাকে উপেক্ষা করার শক্তি এনসিপির নেই।
চিঠিতে জানানো হয়, ইতিপূর্বে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবীসহ সারা দেশের ১০১ জন বিজ্ঞ আইনজীবী শাপলাকে প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দিতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে বিবৃতি দিয়েছেন। অধিকন্তু নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এনসিপির অনুকূলে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া নিয়ে তাঁর দলের ইতিবাচক অবস্থান ব্যক্ত করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের মানুষ মনে করে, শাপলাকে প্রতীক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না করা এবং এনসিপিকে শাপলা বরাদ্দ না দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কোনো আইনি ভিত্তি দ্বারা গঠিত নয়, বরং এনসিপির প্রতি বিরূপ মনোভাব ও স্বেচ্ছাচারী দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ।
সার্বিক বিবেচনায় এনসিপি আশা করে, নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালের নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার বিধি ৯(১) সংশোধন করে জাতীয় নাগরিক পার্টির অনুকূলে শাপলা, সাদা শাপলা ও লাল শাপলা থেকে যেকোনো একটি প্রতীক বরাদ্দ করবে।
সূত্র:যায়যায় দিন








