সুত্র :যুগান্তর
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসন ভবন চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘চাঁদাবাজের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘যুবদলের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, চাঁদাবাজ নো মোর’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বাধীন বাংলার একজন নাগরিককে চাঁদা না দেওয়ার অজুহাতে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয়েছে। তারা শুধু তাকে হত্যাই করেনি লাশের উপর দাঁড়িয়ে নৃত্য করেছে। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, ২৪ উত্তর স্বাধীন বাংলাদেশে যারা চাঁদাবাজি কায়েম করতে চাইবে তাদেরকে জাতি কখনই মেনে নেবে না।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ইয়াসিরুল কবির সৌরভ বলেন, তারা বলে নির্বাচন না দিলে নাকি দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ঠিক হবে না। কিন্তু নির্বাচন হওয়ার আগেই ওই সংগঠনটি সবচেয়ে বেশি খুনের রাজনীতি করছে। এই খুনের রাজনীতি তারাই কায়েম করতে চায় আর তারাই বলছে নির্বাচন চাই। আমরা দেখতে পাই, গত ১৭টি বছর একটি সরকার স্বৈরাচারী শাসন কীভাবে কায়েম করেছিল। কীভাবে একটা সরকার মিডিয়াকে কন্ট্রোল করেছিলো। আমরা আজ দেখতে পেয়েছি, একজন ব্যবসায়ী ভাইকে চাঁদার জন্য কীভাবে নৃশংস ও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা অনতিবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
প্রসঙ্গত, রাজধানীতে চাঁদা না দেওয়ায় মো. সোহাগ (৪৩) নামের এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে এ ঘটনা ঘটে। সেদিনই পুলিশ যুবদল নেতা মঈনসহ দুজনকে আটক করেছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত শতাধিক মানুষের সামনে ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহতা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
সুত্র :যুগান্তর