তদন্তে জানা গেছে, চক্রটির মূল হোতা মালিক ওয়াকাস। তিনি নকল ক্লাব তৈরি করে সেই ক্লাবের সদস্যদের কিছুদিন ফুটবল প্রশিক্ষণ দিয়ে খেলোয়াড়ের মতো আচরণ শেখান। প্রতি জনের কাছ থেকে ৪০ লাখ রুপি (প্রায় ১৩ থেকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার) নেওয়া হয়েছিল।
জাপানে খেলার সময়সূচি পর্যন্ত উল্লেখ করা ছিল নথিতে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাপানি কর্তৃপক্ষ দ্রুতই ভুয়া নিবন্ধন সনদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাল ছাড়পত্রসহ একাধিক অসংগতি ধরতে সক্ষম হয়। এরপর সবাইকে দেশে ফেরত পাঠায় জাপান কর্তৃপক্ষ। এফআইএ জানিয়েছে, মালিক ওয়াকাসকে গ্রেপ্তার করে গুজরানওয়ালা থানায় মামলা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন, এর আগে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেও একই কৌশলে ১৭ জনকে জাপানে পাঠিয়েছিলেন। তার কাছ থেকে জাল নথি, ফুটবল ফেডারেশনের ভুয়া লেটারহেডসহ নানা প্রমাণ জব্দ করেছে তদন্তকারীরা।
কর্তৃপক্ষ বলছে, সীমান্তে কড়াকড়ি বাড়ায় পাচারকারীরা এখন বিমানযাত্রা ও অভিনব ছদ্মবেশে মানুষ পাঠানোর চেষ্টা করছে। প্রতিটি অভিযানে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। ওয়াকাসের বিরুদ্ধে একাধিক মানবপাচারের মামলা রয়েছে।
সূত্র :যায়যায় দিন