গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকট চলছে—এমনটাই জানাচ্ছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন, যিনি বর্তমানে গাজার মাটিতে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি গাজার ভেতরকার অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, “গাজায় এখন মানুষ বাস করছে আতঙ্ক আর আশার মাঝখানে।”
তিনি জানান, দুই দিন আগে গাজা শহরের আল-আহলি হাসপাতাল পরিদর্শনকালে তারা বোমা হামলার মধ্যেই জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দেন। এসবের মধ্যে ছিল ইনট্রাভেনাস (IV) তরল, স্যালাইন, অ্যান্টিবায়োটিক, পরীক্ষাগারের কিছু যন্ত্রপাতি এবং রোগী ও হাসপাতাল কর্মীদের জন্য খাদ্যসামগ্রী।
রিক পিপারকর্ন বলেন, “আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তার চারপাশেই বোমা হামলা হচ্ছিল। সেই অবস্থায়ও হাসপাতালগুলোয় একটানা আসছে আহত রোগী—দগ্ধ ছোট ছোট মেয়েশিশু, হাপরত ছেলেরা, শরীরে ক্ষতের পর ক্ষত।”
তিনি আরও বলেন, গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তর পর্যন্ত একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সর্বত্র মানুষ চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে—একদিকে বাঁচার তীব্র আকুতি, অন্যদিকে অবিরাম সহিংসতা।
চলমান আলোচনার দিকে তাকিয়ে মানুষ
রিক পিপারকর্ন আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, মিশরে চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় যদি সাময়িক হলেও যুদ্ধবিরতি হয়, তবে গাজাবাসীদের জন্য কিছুটা স্বস্তি নিয়ে আসতে পারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) গাজার হাসপাতালগুলোতে সীমিত সরঞ্জাম ও ওষুধ সরবরাহের চেষ্টা করে যাচ্ছে, তবে রাস্তাঘাট ধ্বংস হওয়ায় এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে ত্রাণ পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
সূত্র:যায়যায় দিন








