ক্যাথলিক চার্চের অভ্যন্তরে যৌন নির্যাতনের এক দীর্ঘস্থায়ী সংকট যখন বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলেছে, ঠিক সেই সময়েই ইতালির পরিস্থিতি নিয়ে সামনে এলো এক ভয়াবহ তথ্য।
সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ফ্রান্সেসকো জানার্দি জানান, এই পরিসংখ্যান ভুক্তভোগীদের ব্যক্তিগত বিবৃতি, বিচার বিভাগীয় সূত্র এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত মামলার তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।
রেতে ল’আবুসো যদিও জানায়নি যে এই নির্যাতনের ঘটনাগুলো কত বছরের পুরোনো, তবে তাদের নথিভুক্ত তথ্য মতে, তারা এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২৫০টি সন্দেহভাজন নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে।
এর মধ্যে ১ হাজার ১০৬টি ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন সরাসরি পুরোহিতরা। বহু দশক ধরে শিশু যৌন নির্যাতনের অভিযোগে বিশ্বব্যাপী ক্যাথলিক চার্চ কাঁপলেও, ইতালির স্থানীয় চার্চ নেতৃত্ব এই সংকট মোকাবিলায় তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি সংযমী অবস্থান নিয়েছে। ইতালির বিশপ সম্মেলন (সিইআই) এই প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এমনকি গত সপ্তাহেই ভ্যাটিকানের শিশু সুরক্ষা কমিশন তাদের সমালোচনা করেছিল, কারণ দেশের ২২৬টি ডায়োসিসের মধ্যে মাত্র ৮১টি কমিশনের পাঠানো প্রশ্নপত্রের উত্তর দিয়েছিল।
ভ্যাটিকান কমিশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন যেমন বলেছে, নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতার অভাব এখনো ইতালির চার্চ ব্যবস্থার একটি বড় দুর্বলতা।
সংগঠনটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট ৪ হাজার ৬২৫ জন ভুক্তভোগীর (যাদের তারা সারভাইভার বলে উল্লেখ করে) মধ্যে ৪ হাজার ৩৯৫ জনই পুরোহিতদের হাতে নির্যাতিত। এদের মধ্যে ৪ হাজার ৪৫১ জনের বয়স ছিল ১৮ বছরের নিচে, এবং ৪ হাজার ১০৮ জন ছিলেন পুরুষ।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হলো, রেতে ল’আবুসোর তথ্য অনুযায়ী, ১ হাজার ১০৬ জন সন্দেহভাজন পুরোহিতের মধ্যে মাত্র ৭৬ জনের বিরুদ্ধে চার্চ আদালতে বিচার হয়েছে।
এর মধ্যে মাত্র ১৮ জনকে ধর্মযাজক পদ থেকে অব্যাহতি বা বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযোগের পর ৫ জন অভিযুক্ত আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে রেতে ল’আবুসো।
নতুন পোপ লিও এই সপ্তাহে প্রথমবারের মতো ধর্মযাজকদের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি চার্চের নবনিযুক্ত বিশপদের উদ্দেশে বলেন,অসদাচরণের অভিযোগ গোপন রাখবেন না।
সূত্র :যায়যায় দিন








