আরবি ‘আশুরা’ শব্দের অর্থ দশম। আর ‘মহররম’ অর্থ সম্মানিত বা পবিত্র। হিজরি ৬১ সনের এই দিনে ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ইমাম হোসাইন (রা.) ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং অনুসারীরা ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন।
আশুরার শোককে ধারণ করে রাজধানীর পুরান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাজিয়া মিছিল বের হবে।বাংলাদেশে মূলত শিয়া মুসলমানদের উদ্যোগে এই মিছিল হয়। তাজিয়া মিছিলের মাধ্যমে তারা তাদের হৃদয়নিংড়ানো শোকের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। অংশগ্রহণকারীদের ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতমে কারবালার শোক যেন আছড়ে পড়ে তাজিয়া মিছিলে।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিপরীতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি ও সাহস জোগাবে বলে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বাণীতে উল্লেখ করেন।
এদিকে তাজিয়া মিছিলে দা, ছুরি, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি বহন এবং আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এমন কোনো বস্তু বা আচরণ, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি, অরাজকতা সৃষ্টি করে বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে, তা থেকে বিরত থাকার নির্দেশও দিয়েছে ডিএমপি।