ভেনেজুয়েলা থেকে মাদক পরিবহন করছে- এমন সন্দেহে একটি নৌযানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর হামলায় অন্তত দুইজন বেঁচে গেছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। জীবিত ওই দুইজনকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা আটক করে নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, “তারা নিরীহ কেউ নয়। আমি এমন অনেক লোককে চিনি না, যাদের সাবমেরিন আছে। এই হামলাটি হয়েছে মাদক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।”
তিনি উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক হামলাগুলোতে প্রায় ২৭ জন নিহত হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ‘মাদক সন্ত্রাসীদের’ টার্গেট করে। তবে এ সন্ত্রাসীরা কোন গোষ্ঠীর সদস্য, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।’ অন্যদিকে, জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা যুক্তরাষ্ট্রের এসব হামলাকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো সরকার জানিয়েছে, তারা খবর পেয়েছে, হামলায় তাদের দুই নাগরিক নিহত হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। দেশটি ভেনেজুয়েলার উপকূল থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত। জাতিসংঘে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত স্যামুয়েল মনকাডা নিহত দুইজনের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, নিহতরা জেলে সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন। ভেনেজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্রের এমন হামলা বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
অজ্ঞাতনামা মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, হামলার পর জীবিত দুইজনকে মার্কিন হেলিকপ্টারে উদ্ধার করে ক্যারিবীয় সাগরে অবস্থানরত এক যুদ্ধজাহাজে স্থানান্তর করা হয়। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
ক্যারিবীয় অঞ্চলে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১০ হাজার সেনা অবস্থান করছে, এমন তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় সূত্রগুলো। বুধবার মার্কিন বিমানবাহিনীর একটি বি–৫২ বোমারু বিমানকে ওই অঞ্চলের আকাশে কয়েক ঘণ্টা উড়তে দেখা গেছে, যা অনেকের মতে ভেনেজুয়েলায় সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি হতে পারে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় গোপন সামরিক অভিযান পরিচালনার জন্য সিআইএ-কে অনুমোদন দিয়েছেন এবং দেশটির ভূখণ্ডে সরাসরি হামলার সম্ভাবনাও বিবেচনা করছেন।
সূত্র :যায়যায় দিন








